লাভবার্ড পাখি শুকিয়ে যায় কেন | কৃমির চিকিৎসা | লাভবার্ড পাখি পালন | Lovebird Pakhi Palon

লাভ বার্ড পাখি শুকিয়ে যায় কেন | কৃমির চিকিৎসা | লাভ বার্ড পাখি পালন | love bird Pakhi Palon
সব ধরনের প্রাণীর মধ্যেই কৃমির সমস্যা একটা কমন অসুখ। লাভ বার্ড পাখিও এর ব্যতিক্রম নয়। এই পরজীবী টি পাখির শরীর থেকে পুষ্টি শোষণ করে পাখিকে দুর্বল করে ফেলে। আজকের ভিডিওতে আমরা জানবো ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে লাভ বার্ড পাখির কৃমির চিকিৎসা করানো যায়। ভিডিওটির প্রথমেই আমরা দেখবো কিভাবে পাখির জন্য কৃমির ওষুধ করে তৈরি করতে হয় এবং তারপর আমরা জানবো কি কি লক্ষণ দেখে আপনি বুঝবেন আপনার পাখিটি কৃমিতে আক্রান্ত কিনা।


পরজীবী বা কৃমি জাতীয় সমস্যা প্রত্যেকটা প্রাণীর মধ্যেই হয়। মানুষের যেমন 1 বা 2 বছর পর পর কৃমির ওষুধ খেতে হয় । লাভ বার্ড পাখি ও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাজারে যে সমস্ত কৃমির ঔষধ পাওয়া যায় এগুলো বাস্তবে সবগুলোই বিষ। যা পাখির পেটে সব রকমের পরজীবী কে মেরে ফেলে। আবার পাখির পেটে এমন কিছু পরজীবী থাকে যেগুলো উপকারী। কৃমির ওষুধ কিন্তু এগুলো কেউ মেরে ফেলে। এই ওষুধ গুলো যদি একটু আকটু ডান-বাম হয় তবে আপনার পাখির মারা যাওয়ার একটা প্রবল সম্ভাবনা থাকে। যেমন আপনি যদি অসুস্থ পাখিকে কৃমির ওষুধ খাওয়ান ঐ পাখিটা মারা যাবে। যদি অতিরিক্ত গরমের দিনে কৃমির ওষুধ খাওয়ান তবে আপনার পাখি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে কিভাবে পাখির জন্য নিরাপদ কৃমির ওষুধ তৈরি করতে হয় আসুন এটা আমরা জেনে নেই। এজন্য আপনার 2 টি উপকরণ লাগবে। প্রথমেই 100 গ্ৰাম পরিমাণ পানি নেবেন এবং 45 টি নিমপাতা নিবেন। মোটামুটি চায়ের কাপের এক কাপ পানি নিলেই হবে এবং এটার মধ্যে তিন চার টা নিমপাতা ছেড়ে দেবেন। নিম পাতা সহ এই পানি টাকে 10 মিনিটের জন্য হালকাভাবে সেদ্ধ করবেন। এবারে যে পানির মিশ্রণ তৈরি হলো এটা আপনি আপনার সব রকমের পাখি কে খাওয়াতে পারবেন।
নিম পাতা পানিতে সেদ্ধ করার পর একে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
আপনি যদি এই পানিটা মাসে একবার বা দুই মাসে একবার করে আপনার পাখিকে খাওয়ান তবে তাদের কৃমি হবে না। আবার নরমালি পাখিকে যদি আপনি নিমপাতা সপ্তাহে 1/2 দিন একটু একটু খাওয়াতে পারেন তবে আপনার পাখিগুলো কৃমিতে আক্রান্ত হবে না।

এবারে আসুন জেনে নেই আপনার পাখিটি কৃমিতে আক্রান্ত কিনা এটা আপনি কিভাবে বুঝবেন ‌।
বাজরিগার পাখির কৃমির লক্ষন

১. বিভিন্ন রং এর পায়খানা করা।
২। বমি করা।
৩। পায়খানায় অতিরিক্ত দুরগন্ধ।
৪। পায়খানার সাথে কৃ্মি বের হওয়া অথবা কৃমির লার্ভা/ডিম বের হওয়া।
৫। খাওয়া হজম না হওয়া।
৬। খাবার খাওয়ার পর ও দিন দিন শুকিয়ে যাওয়া
৭। ডিম/বাচ্চা না দেওয়া অথবা কম দেওয়া।

উপরের লক্ষণ গুলো দেখার সাথে সাথে আপনি আপনার পাখিকে কৃমির জন্য ঔষধ তৈরী করে খাওয়াবেন। আবার আপনি চাইলে আপনার পাখিকে মাঝেমাঝে এমনিতেই নিমপাতা খেতে দিতে পারেন। এটা তোদের ইমিউন সিস্টেম ভালো রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button